এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া::
কক্সবাজারের নাজিরারটেক এলাকায় ফিশিং বোটের হিমাগার থেকে উদ্ধার হওয়া ১০ জেলের লাশের মধ্যে চকরিয়ায় তিন জেলে রয়েছে। সোমবার সকালে সরেজমিন উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের জঙ্গলকাটা এলাকায় গিয়ে তিন জেলের পরিবারের কাছ থেকে এসব ঘটনার সত্যতা মেলে।
এদিকে তিন জেলের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারে চলছে আহাজারী। তবে অপর ৭ জনের বাড়ি মহেশখালী এলাকায় বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে রবিবার (২৩ এপ্রিল) বিকালে কক্সবাজার পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ফিশিং বোটের হিামাগার থেকে ১০ জেলের লাশ উদ্ধার হয়। চকরিয়ার তিন জেলের মধ্যে রয়েছে কোনাখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাদেরঘোনা বটতলী এলাকার কবির হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৫), একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জসিম উদ্দিনের ছেলে মো. তারেক মিয়া (২৩) ও শাহ আলমের ছেলে মো. শাহজাহান (৩৩)।
সাইফুল ইসলামের মা সালেহা বেগম বলেন, গত ৭ এপ্রিল সঙ্গীয় লোকজনের সাথে সাগরে মাছ ধরতে যায় সাইফুল। সাগরে যাওয়ার তিনদিন পর তার স্ত্রীর মোবাইলে একটি কল আসে। তোমার স্বামী মারা গেছে। তার চেহলাম দিয়ে দাও। একইভাবে তারেক ও শাহজাহানের পরিবারের মোবাইলে একই সংবাদ দেওয়া হয় পরে এ বিষয়ে ১২ এপ্রিল চকরিয়া থানায় সাইফুলের বড় ভাই ওমর হকিম একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন।
এদিকে স্থানীয় লোকজন জানায়, গত ৯ এপিল মহেশখালী এলাকার শামসুল আলমের মালিকানাধীন ফিশিং বোট থেকে উদ্ধার হওয়া ১০ জেলেকে ডাকাত সন্দেহে মেরে ফেলে অপর জেলেরা। পরে তাদের ওই বোটের হিমাগারে ঢুকিয়ে রেখে পাটাতনে পেরেক মেরে দিয়ে বোটটি পানিতে ডুবিয়ে দেয়।
১৫ দিন পর ফিশিং বোটটি সোনাদিয়া দ্বীপের পশ্চিমে সাগরে ভাসতে দেখে অপর জেলেরা। কাছে গিয়ে পচাঁ গন্ধ পেয়ে বোটটি টেনে নাজিরারটেক এলাকায় নিয়ে আসে তারা। পরে প্রশাসনকে খবর দেয়া হয়। থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী প্রশাসনের লোকজনের উপস্থিতিতে হিমাগারের পাটাতন ভেঙ্গে লাশগুলি উদ্ধার করে। লাশ পঁচে যাওয়ায় সনাক্ত করাও সম্ভব হচ্ছেনা বলে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, লাশ ময়নাতদেন্তর জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।