শিরোনাম ::
মুরগির বাচ্চায় প্রতিদিন ৯ কোটি টাকা ‘লুট’, খামার বন্ধের হুঁশিয়ারি সংবিধানে উপ-প্রধানমন্ত্রী পদ রাখাসহ আরও যেসব প্রস্তাব বিএনপির কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে জাহাজ চলবে বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজারে অপহরণ ও ধর্ষন মামলায় পিতাসহ ৩ ভাইয়ের যাবজ্জীবন চকরিয়ার দায়িত্ববার নিয়েছেন নবাগত ইউএনও আতিকুর রহমান, বিদায়ী ইউএনও কক্সবাজারস্থ শরনার্থী কমিশনে চকরিয়ায় সুরাজপুরে সড়কের উপর বন্যহাতির আক্রমণে দুই পথচারী আহত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইওএম-এনরুট কর্মীদের ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন, চাকরিতে পূর্ণবহালসহ চার দফা দাবি যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করবেন বাইডেন ও ম্যাক্রোঁ আন্দোলনে হামলাকারী ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার যে কারণে গ্রেফতার হলেন ইসকন নেতা প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৫ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

কক্সবাজারে বাঁকখালী নদী দখল ও প্যারাবন নিধন করে প্লট বাণিজ্য

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২২

চ্যানেল আই অনলাইন::

কক্সবাজার শহরে সদর মডেল থানা থেকে প্রায় ৫০০ মিটার উত্তরে বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাট এলাকা। নদীর অপর পাশে খুরুশকুল। মাঝখানে বাঁকখালী নদীর ওপর তৈরি হচ্ছে ৫৯৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু। সেতু নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই শুরু হয়েছে নদী ও তীরের প্যারাবন দখল। প্রথমে প্যারাবনের গাছপালা নিধন করে পরে বালু ফেলে নদী ভরাট করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এভাবে সংযোগ সড়কের পাশে প্রায় ৬’শ হেক্টর এলাকার প্যারাবন উজাড় করে তৈরি হচ্ছে শতাধিক ঘরবাড়িসহ নানা স্থাপনা।

আজ শুক্রবার সকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: আমিন আল পারভেজ এর নেতৃত্বে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের একটি দল সরেজমিন পরিদর্শন করে নদী দখল করে ভরাট ও প্যারাবনের গাছ নিধনের সত্যতা পান এবং উপস্থিত লোকজন ও দখলদারের পাহারাদারদের সাথে কথা বলে পরিবেশ বিধ্বংসী এসব কাজে জড়িতদের পরিচয়ও জানতে পারেন।

জেলা প্রশাসনের দলের সাথে এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস) এর প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ মামুন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: আমিন আল পারভেজ বলেন, নদী দখল ও প্যারাবন নিধনের অভিযোগ পেয়ে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সরেজমিন পরিদর্শন করতে এসেছি। পরিদর্শন করে নদী দখল করে ভরাট ও প্যারাবনের গাছ নিধন অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে। এছাড়া নদী দখলদারদের উচ্ছেদ করতে হাইকোর্টের নিদের্শনাও রয়েছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে নদী দখলকারী ও প্যারাবনের গাছ নিধন করে স্থাপনা নির্মাণকারী এবং প্লট বাণিজ্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস) এর প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুন বলেন, বাকঁখালী নদীর কস্তুরাঘাট এলাকায় গত দুই মাসে প্রায় ৬শ’ হেক্টর এলাকায় নদী দখল ও ভরাট করে ৪০ হাজার কেওড়া ও বাইনগাছ কেটে শতাধিক টিনের ঘর ও পাকা ভবন তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে। গাছপালা উজাড় হওয়ায় দু’ই শতাধিক প্রজাতির পাখির আবাসস্থল ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া নদীর অন্যান্য এলাকায়ও দখলও ভরাটের কারণে নদীর গতিপথ সংকুচিত হয়ে পড়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক শেখ মো. নাজমুল হুদা বলেন, ‘বাকঁখালী নদীর প্যারাবন দখল ও ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে দু’টি মামলা হয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। তবুও প্যারাবন দখল ও দূষণ বন্ধ করা যাচ্ছে না। নিয়মিত অভিযান চালানোর মতো পর্যাপ্ত লোকবল নেই আমাদের।’


আরো খবর: