রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪২ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

কক্সবাজারে চরম বেকায়দায় পর্যটকরা

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শুক্রবার, ৫ নভেম্বর, ২০২১

ডিজেল ও কেরোসিনের অধিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে সারা দেশে ধর্মঘট ডেকেছে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ। তবে ঘোষণা না দিয়েও শুক্রবার সকাল থেকে যাত্রীবাহী বাস বন্ধ রেখেছেন মালিকেরা। হঠাৎ বাস ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছে কক্সবাজারে আসা অনেক হাজার হাজার পর্যটকরা।

কক্সবাজারের বাস পরিবহনসেবার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, শুক্রবার থেকে বাস ধর্মঘট হবে এমন খবর গতকাল সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছিল। এতে বৃহস্পতিবার হওয়া সত্ত্বেও অনেক পর্যটক ফিরে গেছেন। রাতের বাসগুলোতে অনেক ভিড় ছিল। কিন্তু মালিকপক্ষের নির্দেশনার পরে এখন পর্যন্ত একটি বাসও ছেড়ে যায়নি। যাত্রীদের কল করে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। কেউ কেউ টাকা ফেরতও নিয়েছেন। আবার কেউ রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন। সরেজমিনে কলাতলীতে দেখা গেছে, সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারেও পরিবহন ধর্মঘট হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন আগত পর্যটকরা। এতে করে হোটেল ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির আশংকা করছেন। শুক্রবার ভোর থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজারেও পরিবহন ধর্মঘট শুরু করেছে মালিক-শ্রমিকরা।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে সব ধরনের বাসচলাচল বন্ধ করে দেয় মালিক-শ্রমিকরা। এতে চরম বিপাকে পড়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক নাজমুল হাসান বলেন,‘ গত দুইদিন আগে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছি। ধর্মঘটের কারণে ঢাকায় যেতে পারছি না।’ গতকাল ঝাউতলা গ্রীন লাইন কাউন্টার থেকে অগ্রীম টিকেট বুকিং করেছিলাম। এখন কাউন্টার থেকে বলছে রাতে গাড়ি না ছাড়লে টাকা ফেরত দিবে। কিন্তু থাকবো কোথায় রুমও ছেড়ে দিয়েছি। আরেক পর্যটক জামাল হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার বিকেল ৫টায় আমার টিকেট ছিল। কিন্তু এখন বাস যাচ্ছে না। আসলে খুব দুর্ভোগে পড়লাম।’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিবহন নেতা বলেন, ‘জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি করলে আমরা কিভাবে পরিবহন মাঠে নামাবো। কেন্দ্রের নির্দেশে সমস্ত গাড়ি কক্সবাজারে আমরা বন্ধ রেখেছি। যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক বা উপরের নির্দেশনা আসবে তখন বাসচলাচল আবার শুরু হবে।’
ইউনিক পরিবহনের কক্সবাজারের ইনচার্জ আবদুর রহিম জানান, দিনের বেলা তাঁদের কোনো বাস নাই। রাতেই সব বাস চলাচল করে। অনেকের টিকেট বুকিং ছিল যারা যেতে পারছে না তাদের ফেরত দিচ্ছি। আর যারা টিকেট ফেরত নিবেনা তারা গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হলে যেতে পারবেন।
গ্রীন লাইন পরিবহন কক্সবাজারের ইনচার্জ সোলতান আহমদ জানান, আমাদের যাদের টিকেট বুকিং আছে তাদের শুক্রবার রাতে গাড়ি ছেড়ে না গেলে টাকা ফেরত দেব। ধর্মঘট চলমান থাকলে রাতে বাস না চলার সম্ভাবনার কথা যাত্রীদের বলে দিচ্ছি ফোন করে। যাতে আগেভাগে সতর্ক থাকে যাত্রীরা।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ কলিম বলেন, বাস বন্ধের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় পর্যটকেরা আটকে পড়েছেন। আবার অনেকই বুকিং দিয়ে আসতেও পারছেন না। এতে ব্যবসার ক্ষতি হবে আবারো। এটা সারাদেশে সমস্যা দ্রুত বসে সমাধান করা উচিত।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম জানান, পরিবহন ধর্মঘটের পর পর্যটক হয়রানি যাতে না হয় খবরাখবর রাখা হচ্ছে। বাস কাউন্টার থেকে যাতে টিকেটের টাকা ফেরত দেন ও হোটেলে সমস্যার কথা তদারকি করছেন।

সুত্র: কক্সবাজার আলো


আরো খবর: