শিরোনাম ::
রোহিঙ্গা তরুণদের ‘ইয়ুথ মুভমেন্ট ফর আরাকান’ এ স্বদেশ ফেরার আকুতি বাংলাদেশের তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করতে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক চকরিয়ায় মহাসড়কে গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবক নিহত চকরিয়া পেকুয়ার প্রবাসি রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতকল্পে হেল্পডেক্স চালু সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ২৩ দিন ধরে নিখোঁজ চকরিয়ার সাহারবিলের জেলে কমল সেন নায়িকা পরীমণির প্রথম স্বামী নিহত: যা জানালো পুলিশ ডেঙ্গু কেড়ে নিলো আরও ১০ জনের প্রাণ ক্ষমতার ভারসাম্য, একজন দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয় ঘুমধুম সীমান্তে ইয়াবা নিয়ে বাংলাদেশি-রোহিঙ্গাসহ ৪ মাদক চোরাকারবারি আটক মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি এসে পড়ল টেকনাফের বসতঘরের আঙিনায়
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

‘এটা কি ইংল্যান্ড নাকি?’ কৃষকের মুখে ইংরেজি শুনে রেগে লাল নীতীশ কুমার

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
‘এটা কি ইংল্যান্ড নাকি?’ কৃষকের মুখে ইংরেজি শুনে রেগে লাল নীতীশ কুমার


নয়াদিল্লি, ২২ ফেব্রুয়ারি – কৃষকের মুখে ইংরেজি শুনে রেগে গেলেন ভারতের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। আজ বুধবার চতুর্থ কৃষি রোডম্যাপে অংশ নেওয়া এক কৃষকের মুখে ইংরেজি শুনে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনি ইংরেজিতে কথা বলছেন। এটা কি ইংল্যান্ড?’ নীতীশ কুমারের করা এমন প্রশ্নের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়, যে বক্তাকে নিয়ে এত বিতর্ক হয়েছে তার নাম অমিত কুমার। বিহারের লক্ষ্মীসরাইয়ের বাপু সভাঘরে চতুর্থ কৃষি রোডম্যাপের অনুষ্ঠান ছিল।

অনুষ্ঠানে সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমেই নীতীশ কুমারের প্রশংসা করতে থাকেন অমিত কুমার। ম্যানেজমেন্টের স্নাতক অমিত ইংরেজিতে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এতেই মেজাজ হারান নীতীশ কুমার। তাকে থামিয়ে দিয়ে জেডিইউ প্রধান বলেন ‘চাষাবাদ সাধারণ মানুষ করেন। আপনাদের এখানে ডাকা হয়েছে পরামর্শ দেওয়ার জন্য, কিন্তু আপনি ইংরেজি বলতে শুরু করেছেন। এটা ভারত। আর এটা বিহার। করোনার সময়ে মোবাইল দেখতে দেখতে সবাই নিজের ভাষাই ভুলে যাচ্ছেন।’

এমন বাধাদানে হকচকিয়ে যান অমিত। দ্রুত তিনি নিজেকে সামলে নিয়ে বক্তব্য দিতে শুরু করেন। কিন্তু তিনি ফের ‘গভর্মেন্ট স্কিমে’র মতো কিছু ইংরেজি শব্দ প্রয়োগ করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে থামিয়ে নীতীশ কুমার বলেন, ‘এটা কী হচ্ছে? আপনি সরকারি প্রকল্পের মতো শব্দ ব্যবহার করতে পারেন না?’

এরপর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী করিয়ে দেন, তিনি নিজে ইঞ্জিনিয়ার এবং সেই শিক্ষার মাধ্যম ছিল ইংরেজি। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে ইংরেজি বলার কোনো অর্থ তিনি দেখতে পান না। এই কথায় লজ্জা পেয়ে দুঃখপ্রকাশ করতে দেখা যায় অমিতকে।

নীতীশ কুমারের এই কথা নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছে বিহারের বিরোধীদল বিজেপি। বিহারের বিজেপি নেতা ও ওবিসি মোর্চার জাতীয় সম্পাদক নিখিল আনন্দ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার কি ইংরেজি শুনলে বিরক্ত হন? নাকি একজন প্রান্তিক মানুষ ইংরেজি বলতে পারছেন তাতেই তার বিরক্তি লাগছে? এভাবে জনসভায় ইংরিজের ব্যবহারে আপত্তি করাটা অত্যন্ত আপত্তিকর।’

সূত্র: আমাদের সময়
আইএ/ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩





আরো খবর: