কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরে সাত দিনের ব্যবধানে আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৭ ইউনিট কাজ করছে।
শনিবার (১ জুন) দুপুরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।
তবে দিন-দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে নাশকতা বলছে সাধারণ রোহিঙ্গারা। তাদের দাবি; নাশকতার উদ্দেশে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে এই আগুন দিয়েছে।
তবে আগুন লাগার ঘটনাটি পরিকল্পিত কিনা তা তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
নবনির্বাচিত উখিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের সংঘাতের কারণে অস্থিরতা বিরাজ করছে কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে।
ক্যাম্পে খুনোখুনি পাশাপাশি নাশকতার চেষ্টা করছে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠনের গ্রুপগুলো।
এরই মধ্যে কয়েক দফায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে পাহাড়ে মজুত করা মিয়ানমারের ভারী অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে।
একই সঙ্গে গ্রেফতার করেছে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সদস্যদের।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারি পরিচালক অতীশ চাকমা বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির সরজমিনে তদন্তের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়া যাবে।
মূলত এটা কি লাগিয়ে দেয়া আগুন নাকি নিছক দুর্ঘটনাবশত তা তদন্তের মাধ্যমে বলা যাবে। তদন্ত কমিটি ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণও নির্ধারণ করবে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মে উখিয়ার তাজিমারখোলা ক্যাম্পে ৫ ঘণ্টার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ৩ শতাধিক বসতি। একইসঙ্গে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ২ শতাধিক বসতি আর অর্ধ-শত দোকানপাট।