কক্সবাজারের উখিয়ায় জেন্ডার ইন ইনক্লুসিভ পাথওয়েজ আউট অব পোভার্টি ফর ভালনার্যাবল হাউসহোল্ড ( জিপপ) কর্মসূচীর উদ্যোগে দারিদ্র মুক্তির গ্র্যাজুয়েশন মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শেষ হয়েছে।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাংলা – জার্মান সম্প্রীতি ( বিজিএস) ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাস্তবায়নে অস্ট্রেলিয়ান এইডের অর্থায়নের দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করা হয়।
উখিয়া সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাসিম আহমেদ।
বিজিএসের নির্বাহী পরিচালক পাইংশৈউ মারমার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে উখিয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের রেসপন্স দিরেক্টর ডাক্তার ফ্রেডরিক ক্রিষ্টোফার।
প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক । জিপপ কর্মসূচির মাধ্যমে অতি দরিদ্র পরিবার সমূহ স্বাবলম্বী হয়ে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও আত্মনির্ভরশীল হওয়ায় বিজিএস কে ধন্যবাদ জানান।
একদিন বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উখিয়া উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
বিজিএসের নির্বাহী পরিচালক পাইংশৈউ মারমার সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল মাহমুদ হোসেন , উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আইয়ুব আলী ,উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা সেলিম উল্লাহ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম আনোয়ার, বিজিএস ( জিপপ) প্রকল্পের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মোঃ মিলন চৌধুরী ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের প্রজেক্ট ম্যানেজার ইউসুফ আলী প্রমূখ ।
বিজিএস এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মোঃ মিলন চৌধুরী জানান জিপপ কর্মসূচির আওতায় অতি দরিদ্র পরিবারের জীবনমান উন্নয়নে ১৪৪০ পরিবারের শিশুসহ মোট ৭৯৩৫ জন জনগোষ্ঠীকে দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে কাজ করে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে এসেছি। তিনি আরও বলেন উন্নত জাতের হাঁস মুরগি ও ছাগল পালন , মৎস্য চাষ, বসত বাড়ির আঙ্গিনায় শাক সবজি উৎপাদন, সমবায় গঠনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে দারিদ্র্য বিমোচনে প্রযুক্তিগত কৌশলসমূহ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
উল্লখ্য জিপপ প্রকল্পটি ২০১৮ সালে হয়ে ২০২৪ সাল পর্যন্ত চলমান রয়েছে।
উক্ত দারিদ্র মুক্তি গ্যাজুয়েশন মেলায় ২০ টি স্টল খোলা হয়।