শিরোনাম ::
সংবিধানে উপ-প্রধানমন্ত্রী পদ রাখাসহ আরও যেসব প্রস্তাব বিএনপির কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে জাহাজ চলবে বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজারে অপহরণ ও ধর্ষন মামলায় পিতাসহ ৩ ভাইয়ের যাবজ্জীবন চকরিয়ার দায়িত্ববার নিয়েছেন নবাগত ইউএনও আতিকুর রহমান, বিদায়ী ইউএনও কক্সবাজারস্থ শরনার্থী কমিশনে চকরিয়ায় সুরাজপুরে সড়কের উপর বন্যহাতির আক্রমণে দুই পথচারী আহত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইওএম-এনরুট কর্মীদের ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন, চাকরিতে পূর্ণবহালসহ চার দফা দাবি যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করবেন বাইডেন ও ম্যাক্রোঁ আন্দোলনে হামলাকারী ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার যে কারণে গ্রেফতার হলেন ইসকন নেতা প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ আদানি ইস্যুতে পার্লামেন্টে তুমুল হট্টগোল
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫১ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

উখিয়ায় পল্লীবিদ্যুতের ভেল্কিবাজীতে জনজীবন অতিষ্ট

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০২২

এম ফেরদৌস,উখিয়া::

উখিয়া উপজেলায় পল্লীবিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং নিয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। প্রায় এক মাস যাবৎ থেকে সাধারণ মানুষ এ ভোগান্তি নিয়ে সময় পার করছে, এখন রমজান মাস ও শুরু হয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে তার কোন প্রতিকার মিলছে না। প্রতিদিন ইফতার, সেহরি ও তারাবি নামাজের সময় বিদ্যুৎ নিয়ে যায়। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন উখিয়া পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা।

দিন-রাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিয়মিত ৩/৪ ঘন্টা থাকছে না বিদ্যুৎ। একদিকে প্রচণ্ড দাবদাহ, ভেপসা গরম আবার সেই সঙ্গে পল্লী বিদ্যুতের ব্যাপক লোডশেডিং। ফলে প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এমনকি কোনো কোনো সময় সারা দিন-রাতে বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন উখিয়াবাসী।

চিরতরে বন্ধু সংগঠনের উপদেষ্টা মুস্তাক আহমদ জানায়, প্রতিদিন ইফতার,সেহরি ও নামাজের সময়সহ রাত-দিন দীর্ঘ সময়ে নিয়মিত ১ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। এতে আমরা পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা চরম দুর্ভোগে পড়েছি। ডিজিএম সাহেব এই সমস্যা সামাধাণ করতে না পারলে আপনার বিদ্যুৎ আপনি বন্ধ করে দিয়ে উখিয়া থেকে চলে যান আমরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করব না। বিকল্প পথ বেচে নিব। অন্যথায় অফিসে হামলা ভাংচুর হলে আপনারা নিজেরায় দায়ি থাকবেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মসজিদের ইমাম চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সারাদিনে তো বিদ্যুৎ থাকেই না তার মধ্যে ইফতারের ১ ঘন্টা আগে এসে আবার ইফতার শুরু হওয়ার মুহুর্তেই নিয়েই যায়। অন্তত ইফতার ১০ মিনিটের জন্য তো কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখতে পারেন। তারাবি শুরুর দিন থেকেই বিদ্যুৎ ছাড়া এত গরমের মধ্যে মুসল্লিরা নামায আদায় করে যাচ্ছে । মুসল্লিদের নিয়ে খুব কষ্ট করে নামাজ আদায় করতে হচ্ছে। আল্লাহ একমাত্র ফায়সালাকারী তিনিই ভালো জানেন এই বছর পবিত্র রমজান মাসে কেন এমন পরিস্থিতি হলো।

সচেতন মহলের মন্তব্য, লোডশেডিং হয় মানলাম ডিজিএম সাহেব বিজ্ঞপ্তির মাধ্যামে তা প্রকাশ করেন কোন সময় থেকে কোন সময় পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। তার বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার কথা বলে সারাদিন বিদ্যুৎ দেয় না। এ কেমন বিজ্ঞপ্তি কেমন ডিজিএম? আপনার বিজ্ঞপ্তিতে সারাদিন বিদ্যুৎ দিবেন না এটা উল্লেখ করে দিলে তো হয়, অন্তত গ্রাহক শান্তি পেতো। সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে সকাল ৮ টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত ২ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। কিন্তু ২ ঘন্টার কথা বলে ৬ ঘন্টা কেমনে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখে?

পল্লিবিদ্যৎএর এ ভোগান্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ গনম্যাধ্যমে ব্যাপক হারে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। ডিজিএমকে কঠুক্তি করে মানুষ ফেইসবুকে বিভিন্ন স্টাটাস দিয়ে যাচ্ছে। তার প্রতিকার ছেয়েও মানুষ নানান মন্তব্য করতেছেন। ভোগান্তি জনদুর্ভোগ চরমে হওয়াই ক্ষোভ প্রকাশ করে কয়েকজন গুনী ব্যাক্তিরা বলেন। যার মধ্যে রয়েছে…

উখিয়ার প্রবীন সাংবাদিক ও আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম তার নিজস্ব ফেইসবুক ওয়ালে লিখেছেন,উখিয়াবাসীর ওপর বিদ্যুৎ নিয়ে আজ যে নির্যাতন চলছে, সেরকম জুলুম ফিলিস্তিনিদের ওপর পর্যন্ত ইসরায়েল চালায় নি। মানুষ নীতি নৈতিকতাহীন উন্নয়নের গল্প শুনতে রাজি নয়।

উখিয়া হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী লিখেছেন, উখিয়ায় ইফতার ও তারাবির রাজপথে করার সময় এসেছে।বিদ্যুৎ নিয়ে ধৈর্য্য আর সহ্যশক্তি হারিয়ে ফেলছি।

রাজাপালং ইউনিয়নের হিজলিয়া এলাকার সচেতন নাগরিক বিদ্যুৎ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেন, বিদ্যুৎ এর লো-বোল্টেজের কারনে মটর,ফ্রিজ সব গেল। প্রতিবাদ করবার কি কোন উপায় নেই ???

এ বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে উখিয়া পল্লীবিদ্যুত জোনাল অফিসের ডিজিএম মোঃ ইব্রাহিম বলেন,দেশের গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গুলোতে গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আবার একই সময়ে রমজান মাস শুরু ও তীব্র গরম আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা অত্যধিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না ফলে সন্ধ্যা কালীন সময়ে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে ।আশা করি এক সাপ্তাহের মধ্যে এ সমস্যা সামাধান হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।


আরো খবর: