নিখোঁজের ৬ দিনের মাথায় উখিয়ায় জসিম আহমদ (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মরিচ্যা বাজারে নিহতের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান নাঈমা এন্টারপ্রাইজের গোডাউন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত জসিম ওই ইউপি’র ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম মরিচ্যা এলাকার বাসিন্দা ছলিম উল্লাহর ছেলে।
নিহতের বাবা ছলিম উল্লাহ বলেন, আমার ছেলের শরীর ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হত্যা করে গোডাউনেই তালাবদ্ধ করে রেখেছিল ঘাতকরা।
এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী নুরুল আমিন বলেন, সকালে স্থানীয় কয়েকজন জসিমের নাঈমা এন্টারপ্রাইজের গোডাউনের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধ পেয়ে বাজারের ব্যবসায়ীদের জানান। ব্যবসায়ীরা উখিয়া থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তালা ভেঙে জসিমের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের স্ত্রী জোৎস্না আকতার জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১২টার দিকে জসিম মরিচ্যা বাজার এলাকা থেকে বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ হন। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান মেলেনি। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মরিচ্যা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা জসিমকে জীবিত ফেরত পেতে মানববন্ধন করেন। তার পরদিনই মিললো তার স্বামীর লাশ।
তিনি আরও বলেন, ১০ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে স্বামীর সাথে ফোনে কথা হয়। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকেও বাড়ি না ফেরায় পুনরায় তাকে ফোন করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। সারারাত না ফেরায় পরদিন (১১ ফেব্রুয়ারি) ভোর পৌনে ৫টার দিকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখি সেখানে তালা লাগানো। পরে অনেক খোজাঁখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আমি সেদিনই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তদন্তপূর্বক জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) আহমেদ মঞ্জুর মোরশেদ বলেন, ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্যমতে আমরা জসিমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গোডাউনে যাই। পরে লোকজনের সহযোগিতায় তালা ভেঙে ব্যবসায়ী জসিমের মরদেহ দেখতে পাই। লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে পুলিশের ক্রাইম সিন ম্যানেজমেন্টের বিশেষজ্ঞ ও পিআইবি ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে।