সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

উখিয়ার সমুদ্র সৈকতে ভেসে এল মৃত ডলফিন

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: সোমবার, ২১ মার্চ, ২০২২

কক্সবাজারের উখিয়ায় সমুদ্রসৈকতে ভেসে এসেছে মরা ডলফিন ও মাছ।

রোববার সকালে মেরিন ড্রাইভ সড়কের উখিয়ার পাতুয়ারটেক সৈকতে একটি মরা ডলফিন ভেসে আসে। স্থানীয় জেলেরা ডলফিনটি দেখতে পেয়ে বন বিভাগ ও পুলিশকে খবর দেয়। পরে বিকেলে বন বিভাগ মৃত ডলফিনটি উদ্ধার করে।

শনিবার বিকেল ও রাতে কলাতলী সৈকতের এক কিলোমিটার এলাকায় জোয়ারে ভেসে এসেছে অসংখ্য ছোট আকৃতির মাছ। আর এসব মাছ দেখতে স্থানীয় লোকজন ও জেলেরা মাছ ধরতে সৈকতে ভিড় করেন। এ ঘটনায় সৈকতে সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যুর কারণ খুঁজছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ঘটনায় কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সরওয়ার আলম বলেন, ‘রোববার দুপুরে উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের পাটুয়ারটেক সৈকতে মৃত ডলফিনটি ভেসে আসে। ডলফিনটির শরীরে পচন ধরেছে। দুর্গন্ধ বেড় হচ্ছে। হয়তো ২-১ দিন আগে এটি মারা গেছে।’

এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম খালেকুজ্জামান বিপ্লব বলেন, “স্থানীয় জেলেদের কাছ থেকে খবর পেয়ে সৈকতে গিয়ে মরা মাছের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য পাওয়া গেছে মাছগুলো মাছ ধরার জাহাজ থেকে ফেলা হয়েছে। এসব মাছ চামিলা প্রজাতির। যা স্থানীয়দের কাছে ‘গরু’ নামে পরিচিত। ”

এ মৎস্য কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মাছগুলো সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি থাকে। তাই গভীর সাগরে এ মাছ ধরা পড়ার কথা নয়। আবার এমনও হতে পারে টানা জালের মাছ ধরার বোট বেশি মাছ পাওয়ায় কমমূল্যের মাছ ফেলে দিয়েছে।’

এদিকে শহরের কলাতলীর সৈকতে মাছ ধরার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে বেশ কৌতূহল দেখা দেয়। ভেসে আসা বেশির ভাগ মাছই পচে-গলে গেছে। এতে ওই স্থানে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের কক্সবাজার সামুদ্রিক কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান বলেন, ‘চামেলি প্রজাতির মাছগুলো কম মূল্য হওয়ায় জেলেরা সাগরে ফেলে দেয়। এ রকম ঘটনা মাঝেমধ্যে ঘটে থাকে।’

কক্সবাজারে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বুরি) মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর বলেন, ‘মাছ ভেসে আসার খবর পেয়ে বুরির বিজ্ঞানীরা নমুনা সংগ্রহ করেছে। সেখানকার আশপাশের পানিও সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তবে পানির গুণাগুণে কোনো অসংগতি ধরা পড়েনি।’

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৯ ও ১০ এপ্রিল সমুদ্রসৈকতের হিমছড়ি এলাকায় ২টি বিশাল আকৃতির মরা তিমি ভেসে আসে। এ তিমিগুলো গভীর সাগরে মারা পড়েছিল বলে জানিয়ে ছিলেন সমুদ্র বিজ্ঞানীরা। তবে সেগুলোর মৃত্যুরও সঠিক কারণ জানা যায়নি।


আরো খবর: