মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

ঈদগাঁওতে শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২

কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে অপচিকিৎসায় এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

গত সোমবার ঈদগাঁও থানায় এ মামলা রুজু করা হয়। ঈদগাঁহ মেডিক্যাল সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. নজরুল ইসলামকে এ মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে।

এর আগে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ঈদগাঁও, কক্সবাজার-এ ফৌজদারী দরখাস্ত দায়ের করেন মৃত শিশুর মা কুলছুমা আকতার বেবী।

এ মামলাটি নিয়মিত মামলা হিসাবে রুজু করতে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন আদালত।

মামলার বিবরনিতে জানা যায়, ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ছাতিপাড়া গ্রামের জমির উদ্দীনের তিন বছরের শিশুপুত্র তৌহিদুল ইসলামের গায়ে গরম তরকারির ঝোল পড়ে শরীর পুড়ে যায়। তখন শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ঈদগাহ মেডিক্যাল সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যায় তার মা।

কর্তব্যরত চিকিৎসক নজরুল ইসলাম তাকে ভর্তিপূর্বক কতগুলো ওষুধ প্রেসক্রাইব করে পানি ও খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেন। কিন্তু তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শিশুটির খিঁচুনি শুরু হয় ও একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে যায়।

তখন তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও পরে ঢাকাস্থ শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে নিয়ে যান অভিভাবকরা। কিন্তু ততক্ষণে শিশুটির অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়লে ডাক্তারগণ তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

এদিকে মুমূর্ষু শিশুটির আইসিইউ সাপোর্ট প্রয়োজন হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ বেড খালি না থাকায় শিশু তৌহিদকে পিপলস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এক সপ্তাহ লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মারা যায় শিশুটি।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবি ও বাদি পক্ষের অ্যাডভোকেট রমিজ আহমদ বলেন, অভিযুক্ত ডাক্তার নজরুল ইসলাম বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারী বিশেষজ্ঞ নন এবং এ বিষয়ে তার কোনো প্রশিক্ষণও নেই। কিন্তু তিনি দগ্ধ শিশুটিকে উপযুক্ত হাসপাতালে রেফার না করে ঈদগাঁও মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সেখানে ভুল চিকিৎসা, অপ্রাসঙ্গিক ও অকার্যকর ওষুধপত্র, তদুপরি অবহেলা এবং অব্যবস্থপনার
মধ্যে রেখে শিশুটির অবস্থার অবনতি হয়। ফলে শিশুটি মৃত্যুবরণ করে, যা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ।

অভিযুক্ত চিকিৎসক নজরুল ইসলামকে বারবার মোবাইলে ফোন করার পরেও ফোন রিসিভ না করায় এ ব্যাপারে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে ঈদগাঁও মেডিক্যাল সেন্টার এন্ড হাসপাতালের পরিচালক এহসানুল হক দাবি করেন শিশুটিকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কবির বলেন, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক মামলা রুজু করা হয়েছে।


আরো খবর: