শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৪ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

ইসরায়েল আগ্রাসন বন্ধ না করলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়বে

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৩
ইসরায়েল আগ্রাসন বন্ধ না করলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়বে


বৈরুত, ০৪ নভেম্বর – হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে প্রথমবারের মতো কথা বলেছেন লেবাননভিত্তিক শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। শুক্রবার টিভিতে দেয়া ভাষণে তিনি হুমকি দিয়েছেন, যদি ইসরায়েল গাজায় আগ্রাসন না থামায়, তাহলে এ যুদ্ধে জড়িত হবে হিজবুল্লাহ। খবর আল-জাজিরার।

বক্তব্যের শুরুতে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে প্রাণ হারানো হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের স্মরণ করেন তিনি। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিমতীরে যারা নিহত হয়েছেন তাদেরও স্মরণ করেন। এ ছাড়া গত ৭ অক্টোবর হামাসের যেসব যোদ্ধা ইসরায়েল ঢুকে হামলা চালান তাদের অভিনন্দন জানান তিনি।

ইসরায়েলে হামাসের হামলাকে নাসরুল্লাহ সঠিক, বুদ্ধিমান এবং সাহসী হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ঠিক সময়ে হামাস এই হামলা চালিয়েছে। হামাস গত ৭ অক্টোবর যা করেছে; ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যকে কাঁপিয়ে দিতে এমন কিছু একটার দরকার ছিল। কারণ গত কয়েক বছরে ফিলিস্তিনিদের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। বিশেষ করে ইসরায়েলের বর্তমান চরমপন্থি, বোকা ও বর্বর সরকারের কারণে ফিলিস্তিনিরা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল।

হাসান নাসরুল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, এখনো কিছুই শুরু হয়নি তার আগেই বিশ্বের অনেক দেশের প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী, সেনা কর্মকর্তা অবৈধ ইসরায়েলে এসেছেন এবং আর্থিক সহায়তা পাঠাচ্ছেন। হামাসের এই হামলার মাধ্যমে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নতুন ধাপ শুরু হয়েছে।

শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠীর এই প্রধান বলেন, ইসরায়েল এখন এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে; যেগুলো তারা কখনো অর্জন করতে পারবে না। আর এটি হচ্ছে যুদ্ধের সবচেয়ে ভুল সিদ্ধান্ত। বর্তমানে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী যে বর্বরতা চালাচ্ছে, এর মাধ্যমে তাদের নির্বুদ্ধিতা ও অক্ষমতা প্রকাশ পাচ্ছে। তারা হামলা চালিয়ে শুধু নারী ও শিশুদের হত্যা করছে। কিন্তু গত এক মাসে গাজায় একটি সামরিক লক্ষ্যও অর্জন করতে পারেনি ইসরায়েল।

তিনি এই যুদ্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে বলেছেন, যুদ্ধের জন্য ইসরায়েলকে ব্যবহার করছে মার্কিনিরা।

নাসরুল্লাহ এ যুদ্ধকে ‘ভিন্ন’ যুদ্ধ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এর আগে কখনো এ অঞ্চলে এ ধরনের যুদ্ধ দেখা যায়নি।

তিনি আরও জানান, তারা সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছেন এবং হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর ভূমধ্যসাগরে যুক্তরাষ্ট্র যে দুটি বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে এতে হিজবুল্লাহ ভয় পায় না।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ০৪ নভেম্বর ২০২৩





আরো খবর: