বৈরুত, ০৪ জানুয়ারি – লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর ৯ সদস্য নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে হিজবুল্লাহর স্থানীয় কর্মকর্তা হোসাইন ইয়াজবেকও রয়েছেন বলে স্বীকার করেছে সংগঠনটি।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, আমার যোদ্ধারা যুদ্ধকে ভয় পায় না। তবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তার বাহিনীর হামলা বাড়ে, এমন ঘোষণা তিনি এখনই দিতে চাচ্ছেন না।
এদিকে, বৈরুতে হামাসের উপ-প্রধান সালেহ আল আরৌরি নিহত হওয়ার পর দেওয়া ভাষণে নাসরুল্লাহ বলেছিলেন, মিত্র ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের উপ-প্রধানের হত্যা জঘন্য অপরাধ, যার পরে আমরা চুপ থাকতে পারি না। এই হত্যাকাণ্ড যুদ্ধের বিস্তৃতির কারণ হতে পারে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা বুধবার (৩ জানুয়ারি) দক্ষিণ লেবাননের ইয়ারুন গ্রামে ওই হামলা চালায়। গত অক্টোবরে ইসরায়েলের সঙ্গে সীমান্ত-যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম এক দিনে এতজন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হলেন।
ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, তারা লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। গত ৮ অক্টোবর থেকে লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হিজবুল্লাহ সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহর ১৪৩ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। বিপরীতে হিজবুল্লাহর পাল্টা হামলায় ১১ জন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা তাদের উত্তর সীমান্তের সুরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে ও হিজবুল্লাহর ঘাঁটিগুলোতে হামলা অব্যাহত রাখবে।
বৈরুত থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক জেইনা খোদর বলেন, নাসরুল্লাহর বক্তব্যে সূক্ষ্ম ভারসাম্য প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বলেছেন যে ইসরায়েল যদি পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তবে হিজবুল্লাহও তার পূর্ণ সামরিক সক্ষমতা নিয়ে লড়াই করবে।
‘কিন্তু নাসরুল্লাহ জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনার কথাও বলেছেন। বিষয়টি মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে এই ‘প্রতিরোধ অক্ষে’ থাকা প্রতিটি প্রতিরোধ গোষ্ঠীকে বিবেচনায় নিতে হবে। তাছাড়া নাসরুল্লাহ খুব ভালোভাবেই জানেন যে ইসরায়েল লেবাননকে ধ্বংস করে দিতেও সক্ষম। সুতরাং হিজবুল্লাহর হাত বাঁধা। কিন্তু সংগঠনটির প্রধান এটাও বলছেন যে তারা যুদ্ধকে ভয় পায় না।’
সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ০৪ জানুয়ারি ২০২৪