শিরোনাম ::
দ্রুতই ‘রোডম্যাপ’ দিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে চায় সরকার মহেশখালীতে পুলিশের অভিযানে হত্যা ও অস্ত্র মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ গ্রেফতার ৪  পেকুয়ায় লবণের দরপতন, স্থবিরতা অর্থনীতিতে উখিয়া হাজীরপাড়া সীরত কমিটির উদ্যোগে ৬ষ্ঠ তম হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা সম্পন্ন, পুরষ্কার বিতরণ শয়তানের চক্রান্ত থেকে বাঁচার উপায় এবি পার্টির চেয়ারম্যান মঞ্জু ও সম্পাদক ফুয়াদ রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিয়ে ভোলায় জিয়া মঞ্চের লিফলেট বিতরণ  আবারও গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দুই সপ্তাহের জন্য মুম্বাই যাচ্ছেন শাকিব চকরিয়ায় ফিল্মিস্টাইলে গাড়িতে তুলে প্রবাসিকে অপহরণের চেষ্টা- মারধর, পথচারীকে গাড়ি চাপা
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪৫ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

ইরানে শাস্তির মুখে ১০ সেনা

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৩
ইরানে শাস্তির মুখে ১০ সেনা


তেহরান, ১৭ এপ্রিল – ২০২০ সালে ইরানের রাজধানী তেহরানের আকাশে দুর্ঘটনাবশত ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান গুলি করে ভূপাতিত করার ঘটনায় দেশটির ১০ সেনা সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। সিএনএন

ইরানের বিচার বিভাগের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা মিজান বলছে, তেহরানের একটি আদালত বিমান ভূপাতিত করার ঘটনায় ১০ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। এদের মধ্যে প্রধান অভিযুক্তকে ১৩ বছর এবং বাকি নয় জনকে এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন কমান্ডারকে চিহ্নিত করা হয়েছে যিনি যাত্রীবাহী বিমানটিকে একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বলে ভুল করেছিলেন। সেইসঙ্গে তিনি কমান্ডিং সেন্টারের নির্দেশের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বিমানটিকে দুইবার গুলি করেন।

আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ওই কমান্ডার পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে ব্যর্থতার পরিচয় দেন এবং তিনি বিভ্রান্তিকর বিশ্বাস নিয়ে বিমানটিকে শত্রুর লক্ষ্যবস্তু হিসেবে চিহ্নিত করে সেটি লক্ষ্য করে গুলি করেন। অবশিষ্ট নয় অভিযুক্ত ঘটনার সময় সেনাবাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষা বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

আগামী ২০ দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আপিল করতে পারবেন অভিযুক্তরা।

২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভগামী একটি যাত্রীবাহী বিমান তেহরান থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় বিমানটির ১৭৬ আরোহীর সবাই নিহত হন যাদের বেশিরভাগ ছিলেন ইরানি নাগরিক।

ওই ঘটনার মাত্র পাঁচদিন আগে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের জনপ্রিয় লেফটেন্যান্ট কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানি শহীদ হন। ওই ঘটনার জের ধরে আমেরিকার সঙ্গে ইরানের উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠার কারণে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনাকারীরা যাত্রীবাহী বিমানটিকে ইরাকের কোনো মার্কিন ঘাঁটি থেকে নিক্ষিপ্ত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বলে ভুল করেন। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার দু’দিনের মাথায় প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে ইরান স্বীকার করে যে, মানবীয় ভুলের কারণে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ১৭ এপ্রিল ২০২৩





আরো খবর: