মস্কো, ২৮ জুলাই – আফ্রিকার দরিদ্রতম ছয়টি দেশে বিনামূল্যে গম দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সেন্ট পিটার্সবার্গে আফ্রিকার দেশগুলোর জোট আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন তিনি।
দেশগুলো হলো- বুরকিনা ফাসো, জিম্বাবুয়ে, মালি, সোমালি, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও ইরিত্রিয়া। এইউ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, আগামী তিন-চার মাসে এই ছয়টি দেশের প্রত্যেককে ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টন পর্যন্ত গম পাঠানো হবে। আর এতে যা খরচ হবে, তার সবটুকুই দেবে রাশিয়া।
পুতিন বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ২০ শতাংশ গম রাশিয়া থেকে সরবরাহ হয়। অন্যদিকে, ইউক্রেন থেকে আসে মাত্র ৫ শতাংশ। গত বছর শস্যচুক্তি করার সময় আমরা শর্ত দিয়েছিলাম, পশ্চিমা দেশগুলো যেন আমাদের কৃষি, খাদ্যপণ্য ও সারের ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহার করে নেয়। চুক্তির অন্যান্য অংশীদাররা আমাদের এ শর্তে রাজিও হয়েছিল।
‘কিন্তু আমরা দেখলাম, এই চুক্তিকে তারা সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে ও ইউক্রেনের গমের সবগুলো চালান গেছে ইউরোপে। আফ্রিকা ও বিশ্বের অন্যান্য দরিদ্র দেশ সেই গমের ভাগ পায়নি। আমাদের কৃষিপণ্য ও সারের ওপর যেসব নিষেধাজ্ঞা পশ্চিমা বিশ্ব দিয়েছিল, সেগুলোও প্রত্যাহার করা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, আবার আমরা যখন বললাম যে দরিদ্রতম দেশগুলোকে সহায়তা হিসেবে বিনামূল্যে গম ও সার পাঠাতে চাই, সেখানেও তারা বাধা দিতে শুরু করলো। ইউরোপের বিভিন্ন বন্দরে দিনের পর দিন আমাদের ২ লাখ ৬২ হাজার টনেরও বেশি গম আটকা পড়ে ছিল।
‘শস্য চুক্তির পর আমরা ইউরোপের বিভিন্ন বন্দর থেকে মাত্র ৪৪ হাজার টন সার নিয়ে এসে আফ্রিকার দেশ মালাউইকে ২০ হাজার টন ও কেনিয়াকে ৩৪ টন সার বিনামূল্যে দিতে পেরেছি। বাকি সব সার ইউরোপের বিভিন্ন দেশ লুট করে নিয়েছে।
গত বছরের আগস্টে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের সঙ্গে শস্যচুক্তি সই করেছিল রাশিয়া। কিন্তু প্রতিশ্রুত শর্ত না মানার অভিযোগে সম্প্রতি চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে রাশিয়া। এর পরপরই বিশ্ব বাজারে গম ও ভুট্টার দাম বাড়তে থাকে।
সূত্র:জাগো নিউজ
আইএ/ ২৮ জুলাই ২০২৩