নয়াদিল্লি, ২৯ জুন – ভারতের মণিপুরে সহিংসতায় বিধ্বস্ত এলাকায় গাড়ি বহর নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হলো না রাহুল গান্ধীকে। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) মণিপুর পৌঁছেই চূড়াচাঁদপুরের দিকে রওনা দেন কংগ্রেস নেতা। কিন্তু ইম্ফল থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার যেতেই তার গাড়িবহর আটকে দেওয়া হয়।
মণিপুর পুলিশ কেন রাহুলের গাড়িবহর আটকে দিয়েছে তা অবশ্য এখনো জানা যায়নি। জানা গেছে, হেলিকপ্টারে চড়েই চূড়াচাঁদপুরে যাবেন রাহুল। অগ্নিগর্ভ মণিপুরের এলাকাগুলো ঘুরে দেখতে দু’দিনের জন্য সেরাজ্যে পৌঁছেছেন রাহুল।
বৃহস্পতিবার সকালে ইম্ফল পৌঁছান কংগ্রেস নেতা। বিমানবন্দর থেকেই সহিংসতার উৎপত্তিস্থল চূড়াচাঁদপুরের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু মাত্র ২০ কিলোমিটার এগোতেই তার গাড়িবহর আটকে দেওয়া হয়। মে মাসে এই চূড়াচাঁদপুরের একটি মিছিল থেকেই আন্দোলনের সূত্রপাত। তারপর থেকেই গোটা মণিপুর অশান্ত হয়ে উঠেছে। রাজ্যের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম এই চূড়াচাঁদপুর।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ২৯ ও ৩০ জুন মণিপুর সফরে যাবেন রাহুল গান্ধী। সাবেক কংগ্রেস সভাপতি ইম্ফল ও চূড়াচাঁদপুরে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন। পাশাপাশি ত্রাণ শিবিরগুলোও পরিদর্শন করবেন বলেও দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়। সেই সূচী মেনেই বৃহস্পতিবার ইম্ফলের বিমানবন্দরে পৌঁছান রাহুল। তাকে স্বাগত জানান রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্ব।
সহিংসতায় বিধ্বস্ত চূড়াচাঁদপুরে তিনশোরও বেশি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। অন্তত ৫০ হাজার মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। গত প্রায় দু’মাস ধরে জ্বলছে মণিপুর। এমন পরিস্থিতিতেও রাহুলকে দেখতে ভিড় জমান অসংখ্য মানুষ। তবে তাদের হঠাতে কাদানে গ্যাস ছুঁড়েছে পুলিশ, এমনটাও শোনা গেছে।
কংগ্রেস জানিয়েছে, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী তো বিধ্বস্ত এলাকায় যাননি, কিন্তু রাহুল গান্ধী সেখানে হাজির।
সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ২৯ জুন ২০২৩