ওয়াশিংটন, ১৮ জানুয়ারি – নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম কর্মদিবস থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে বিনা অনুমতিতে বসবাসকারী অভিবাসীদের আটক ও বিতাড়িত করার অভিযান শুরু হবে। মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
দেশটির দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘বর্ডার জার’ টম হোম্যানের হুমকির মুখে মঙ্গলবারের প্রথম প্রহরেই শিকাগোতে অবৈধ অভিবাসী-বিরোধী অভিযান শুরু হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের এই শহরে বিপুল সংখ্যক অভিবাসীর বসবাস রয়েছে।
ট্রাম্প ইতোমধ্যে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বাসন কর্মসূচির তদারকি করবেন তিনি। চলতি সপ্তাহে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হোম্যান দেশজুড়ে ‘বড় অভিযান’ পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) সংস্থা দেশটিতে সব সময় অবৈধ অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনের কাজ করে। আগামী সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার অভিষেকের পর আইসিই অবৈধ অভিবাসী-বিরোধী অভিযান শুরু করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
শুরুতেই অভিবাসীদের ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত দেশটির বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে এই অভিযান পরিচালনা করা হবে। শিকাগোর পাশাপাশি নিউইয়র্ক সিটি এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো অন্যান্য কিছু শহরে অভিবাসীদের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে।
ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে সাধারণত অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তারে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছিল আইসিই। বিশেষ করে গুরুতর অপরাধী, সম্প্রতি সীমান্ত অতিক্রম করেছেন অথবা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছেন, এমন অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করা হতো। তবে ট্রাম্পের টিম ইতোমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে, যেসব অভিবাসী অপরাধের সঙ্গে জড়িত অথবা সকল অবৈধ অভিবাসী যারা বহু বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস ও কাজ করেছেন এবং কোনও অপরাধমূলক ইতিহাসও নেই; তাদেরও গ্রেপ্তার এবং নির্বাসিত করার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ১৮ জানুয়ারি ২০২৫