শিরোনাম ::
টেকনাফে ১০ জন কৃষক অপহরণের মামলার অন্যতম আসামী দেলু ডাকাত গ্রেপ্তার টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ৩০ হাজার ইয়াবাসহ নৌকা জব্দ র‌্যাবের অভিযানে মাদক মামলার পরোয়নাভুক্ত দুই আসামী গ্রেফতার টেকনাফে পুলিশের অভিযানে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন,গ্রেফতার-৬ পেকুয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রুমানার গনসংযোগ ও মতবিনিময় সভা বন্ধুর সাথে ঘুরতে গিয়ে কক্সবাজারমুখী বাসের ধাক্কায় লাশ হয়ে ফিরল জসিম টেকনাফে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ইয়াবা উদ্ধার পালিয়ে আসা সেনা ও বিজিপি সদস্যদের ফেরত নিলো মিয়ানমার উখিয়ায় দুর্যোগ প্রস্তুুতি ও সাড়াদান বিষয়ক সভায় অনুষ্ঠিত উখিয়ায় দুই দিনব্যাপী শিশু সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকার স্বর্ণ পাচার হয়: বাজুস

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২২

সারা দেশের জল, স্থল ও আকাশপথ ব্যবহার করে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার অবৈধ চোরাই স্বর্ণালংকার ও বার বাংলাদেশে আসছে। বছর শেষে চোরাচালানের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা। এসব স্বর্ণের প্রায় পুরোটাই আবার প্রতিবেশী দেশে পাচার হয়ে যায়। অর্থাৎ চোরাকারবারিরা বাংলাদেশকে স্বর্ণ চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে।

গতকাল রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। দেশের জুয়েলারি খাতের অস্থিরতা ও চোরাচালান বন্ধে সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জোরালো অভিযানের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে সংগঠনটি।

বাজুস নেতারা জানান, গোয়েন্দা তথ্য, স্বর্ণ চোরাচালান-সম্পর্কিত বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য ও নিজস্ব পর্যালোচনার ভিত্তিতে এ অনুমাননির্ভর হিসাব তৈরি করেছেন তারা। তবে তারা মনে করেন, এ হিসাব সর্বনিম্ন। আদতে দেশে আরো বেশি স্বর্ণ চোরাচালান হয়ে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাজুসের পরিচালক এনামুল হক খান। উপস্থিত ছিলেন বাজুসের যুগ্ম সম্পাদক বিধান মালাকার, পরিচালক ইকবাল উদ্দিন, সদস্য স্বপন চন্দ্র কর্মকার, বিকাশ ঘোষ, বাবুল রহমান ও নজরুল ইসলাম।

এনামুল হক খান বলেন, চোরাকারবারিরা বাংলাদেশকে স্বর্ণ পাচারের নিরাপদ পথ হিসেবে ব্যবহার করে। এটা কথার কথা নয়, প্রতিষ্ঠিত সত্য। আমাদের দেশকে ব্যবহার করে প্রতিবেশী একটি দেশে স্বর্ণ পাচার হয়। এটা বন্ধ করতেই হবে। তবে শুধু আইন প্রয়োগ করে চোরাচালান বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন এনামুল হক। তিনি বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তত্পর। তাদের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।

এজন্য তাদের প্রশিক্ষণ ও আধুনিক যন্ত্রপাতি দেয়ার পাশাপাশি জব্দ করা স্বর্ণের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত পুরস্কার হিসেবে দেয়ার প্রস্তাব করেন বাজুস নেতারা। চোরাচালান বন্ধে প্রয়োজনে আরো কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাজুসকে সম্পৃক্ত করে আইন প্রয়োগকারী সব দপ্তরের সমন্বয়ে চোরাচালানবিরোধী সেল গঠনের পরামর্শ দেন তারা।


আরো খবর: