প্রধানমন্ত্রীর মাদকের বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স’’ নীতি ঘোষণার প্রেক্ষিতে কক্সবাজার-৩৪ বিজিবি বিশেষ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় উখিয়া উপজেলার অভিযান চালিয়ে সাড়ে তিন কোটি টাকার ১ লাখ ২০ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এসময় উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
২৮ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে ৩টার দিকেউখিয়া উপজেলার ৪নং রাজাপালং ইউপি’র বাগানপাড়া ফিশারীঘাট এলাকা থেকে এসব ইয়াবা উদ্ধার করে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৩৪বিজিবি নিয়ন্ত্রিত রেজুআমতলী বিওপি’র সদস্যগণ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কতিপয় ইয়াবা ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে মায়ানমার হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে রেজুআমতলী বিওপি’র একটি চৌকস আভিযানিক টহল দল কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার ৪নং রাজাপালং ইউপি’র বাগানপাড়া ফিশারীঘাট নামক স্থানে ফাঁদ পেতে থাকে।
পরবর্তীতে ভোর সাড়ে ৩টার সময় চারজন ব্যক্তিকে পায়ে হেঁটে সীমান্ত এলাকা হতে বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে।
আটকৃতরা হচ্ছে-উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১, ব্লক-এফ/৩ এর মৃত নুরুল বশরের পুত্র মোঃ সৈয়দ (৩৭),কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১, ব্লক-এফ/১২ এর মৃত জাহিদ হোসেনের পুত্র এনায়েতুর রহমান (২১),কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৭, ব্লক-সি/১১ এর মৃত শামসুর রহমানের পুত্র নুর আলম (৩০) এবং কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১, ব্লক-সি/১৩ এর মৃত সুলতান আহমেদের পুত্র মোঃ জুবায়ের (২০)।
পরবর্তীতে ধৃত আসামীদের শরীরে অতিকৌশলে বাঁধা অবস্থায় লুঙ্গি দিয়ে মোড়ানো ব্যাগ তল্লাশী করে ১ লাখ ২০ হাজার পীস বার্মিজ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। যার বাজার মূল্য ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে ৩৪ বিজিবির উপ-অধিনায়ক ও অতিরিক্ত পরিচালক মেজর মোঃ আবদুল আজিজ ভূঁইয়া জানান- মাদকের বিরুদ্ধে জেলার সীমান্ত এলাকায় বিজিবির অভিযান অব্যাহত আছে। আটক চারজনের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।