হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ ::
ভাল রোজগার করে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে সংসারে সুখের হাসি ফোটানোর আশায় সাগর পথে মালয়েশিয়া যেতে গিয়েই ৬বছর ধরে মিয়ানমার কারাগারে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে নিখোঁজ থাকা দ্্্্ুই যুবক। এতে পরিজন নিখোঁজ ছেলেদের সন্ধান পেতে অসহায়-দরিদ্র মায়েরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আন্তরিক সহায়তা কামনা করেছেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বিগত ২০১৩ইং সনের ১১ আগষ্ঠ টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামরী হামজার ছড়ার মৃত ছৈয়দ আলমের পুত্র বাদশা মিয়া (৩২) ও আশ্রয়ন কেন্দ্রের ফরিদ আলমের পুত্র জয়নাল উদ্দিন (২৮) দালালের খপ্পরে পড়ে বেশী টাকা আয়ের আশায় সাগর পথে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
ঐ যুবকেরা রওয়ানা দেওয়ার ২/৩দিন পর সাগরে একাধিক মালয়েশিয়া গমনকারী যাত্রী বোঝাই ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এরপর হতে দীর্ঘ সাড়ে ৪/৫ বছর কোন ধরনের খোঁজ-খবর না পেয়ে গর্ভধারিণী মা দ্বয় পুত্র শোকে কাতর হয়ে পড়ে। হারানো মানিকদের একটু খবরের আশায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
আরো বেশ কিছুদিন হঠাৎ অন্ধকার রাত শেষে সুর্যোদয়ের মতো গত ১বছর আগে ডিএসবি পুলিশ ভেরিফিকেশনে নিখোঁজ উপরোক্ত যুবকদের সন্ধান করা হলে মিয়ানমার জেল-হাজতে বন্দি থাকার বিষয়ে অবগত হন।
খোঁজ নিয়ে তারা মিয়ানমারের মুনস্টেটের মউল মিয়ন টাউনের জেল খানায় রয়েছে বলে একাধিক সুত্রে নিশ্চিত রয়েছে। এই সুসংবাদের প্রায় দেড় বছর পার হতে চললে ও এখনো দেশে ফিরে আনার কোন ধরনের পদক্ষেপ না থাকায় ভূক্তভোগী দরিদ্র পরিবার অস্থির হয়ে উঠেছে।
এদিকে নিখোঁজ বাদশার মা নুর জাহান ও জয়নাল উদ্দিনের মা রাবেয়া বেগম তাদের নাড়ি-ছেঁড়া ধনদের যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের উর্ধ্বতন মহলের আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।