ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর- কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সহযোগিতা চাইলেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন সাক্ষাৎ করতে এলে কৃষিমন্ত্রী এ সহযোগিতা চান। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষাৎকালে ২০২২ সালে এফএওর ৩৬তম এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন বাংলাদেশে আয়োজনের পূর্ব-প্রস্তুতি, ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার, কৃষিতে ইনোভেশন ল্যাব, করোনা পরিস্থিতিতে কৃষিক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ এবং কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের নানাবিধ উদ্যোগ এবং কৃষিখাতে প্রণোদনার ফলে কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। বাংলাদেশ দানাদার জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। এখন দেশে কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ খুবই প্রয়োজন। স্থানীয়ভাবে প্রক্রিয়াজাতকরণ কিছুটা হচ্ছে। তবে কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণে নেসলে, কেলোগ প্রভৃতির মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা দরকার, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ দরকার।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ ও সহায়তা নেয়ার জন্য খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বাংলাদেশে ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার চলমান আছে। দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে চাষযোগ্য অনেক জাত উদ্ভাবন হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো সেচের জন্য ফ্রেশ পানির অভাব। সেজন্য খালগুলো পুনঃখনন করে পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এছাড়া অপ্রচলিত ফসলের চাষাবাদও বাড়ানো দরকার। এসব ক্ষেত্রে ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচারকে আরও সম্পৃক্ত করতে হবে।’
এফএওর প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসন বলেন, কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থানীয় অফিসগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে সহযোগিতার বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে।
আরও পড়ুন- খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের আবেদন অনুমোদন দিল প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘কৃষিক্ষেত্রের উদ্ভাবনী বা আইডিয়াগুলো সংরক্ষণ ও শেয়ারের জন্য ইনোভেশন ল্যাব স্থাপন করা প্রয়োজন।’ এ সময় কৃষিসচিব মো. নাসিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: জাগো নিউজ
এমএ/ ১৫ সেপ্টেম্বর