হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া::
মিয়ানমার সরকারের পাশবিক নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়া নতুন পুরাতন মিলে ১১ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের শরণার্থী ক্যাম্পে। এদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসা সরকারি বেসরকারি, এনজিও সংস্থার হাজার হাজার লোকজনের আবাসনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে স্থানীয়রা বাণিজ্যিকভাবে প্লাট বাড়ি নির্মাণে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। এই সুযোগে ইটের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইট ভাটার মালিকেরা ইটের দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। ইট ভাটার মালিক উচ্চমূল্যে কয়লা না কেনে কাঠ পুড়িয়ে ভাটা চালু রেখেছেন। কয়লার দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় অজুহাতে সহজলভ্য কাঠ পুড়িয়েই ইটের ভাটা চলছে। গত বছর সাড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায় প্রতি হাজার ইট বিক্রি হয়েছে। এ বছর রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ইটের যথেষ্ট চাহিদা থাকায় এখন ইট বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৭ হাজার টাকায়। প্রতি হাজার ইটের দাম ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধির আশংকা করছেন স্থানীয়রা। অনেক ইট ভাটার মালিক ইট পুড়ানোর পর বেশি দামে বিক্রির জন্য মজুদ করে রেখেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। পরিবেশবান্ধব জিগজাগ ইট ভাটায় কয়লা ছাড়া ইট পোড়ানো যায় না। অধিকাংশ ইট ভাটা পরিবেশবান্ধব না হওয়ায় কয়লা ছাড়াও চলতে পারে। ইট ভাটার মালিক হায়দার বলেন, সরকারের উচিত কয়লা আমদানি বৃদ্দি করা। কয়লা আমদানি স্বাভাবিক না হলে মালিকের ক্ষতি হবে এবং ইটের দাম বৃদ্ধি পাবে। কয়লা না পেলে কাঠ দিয়ে ইট পোড়াতে হয়। যারা এখন ইট পোড়াচ্ছে তাদের উৎপাদন খরচ খুব বেশি। ফলে খরচ তুলতে হলে অবশ্যই দাম বাড়াতে হবে। বাড়ি নির্মাতা জুলফিকার আলী বলেন, ইটের সঙ্গে দেশের অনেক কিছু জড়িত। দাম বেশি হলেও প্রয়োজন আছে তাই কিনতে বাধ্য হচ্ছি।